Posts

দাঁড়ি ও মুসলিম

দাড়ি পুরুষের বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্যের প্রতীক। দাড়ি রাখার যেমন দুনিয়াবী উপকারিতা রয়েছে তেমনি এটি রেখে সুন্নাত পালনের মাধ্যমে জান্নাত লাভ করা যায়। সেজন্য রাসূল (ছাঃ) বা তাঁর লক্ষ লক্ষ ছাহাবীর কেউ দাড়ি মুন্ডন বা শেভ করেছেন এমন প্রমাণ পাওয়া যায় না। দাড়ি নিয়ে সমাজে রয়েছে নানা বিভ্রান্তি। কিছু আলেম নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে দাড়ি রাখাকে সুন্নাত বলে প্রচার করেন। কিন্তু বিশ্বের নিভর্রযোগ্য সকল আলেম দাড়ি রাখা ওয়াজিব হওয়ার ব্যাপারে ঐক্যমত পোষণ করেছেন। শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই দাড়ি রাখা সম্পর্কে একটি ভ্রান্ত ধারণা আছে যে, দাড়ি রাখা সুন্নাত। অতএব দাড়ি রাখলে ভাল আর না রাখলে তেমন কোন সমস্যা নেই; একটা সুন্নাত পালন করা হ’ল না এই যা। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। দাড়ি আল্লাহর একটি মহান ও বড় নে‘মত। দাড়ি দ্বারা তিনি পুরুষকে অনুগ্রহ করেছেন এবং নারী জাতি থেকে তাকে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করেছেন। দাড়ি শুধুমাত্র মুখমন্ডলের উপর কয়েকটি কেশগুচ্ছই নয়; বরং এটি ইসলামের বাহ্যিক একটি নিদর্শন। দাড়ি যথাযথভাবে রেখে এবং তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। মহান আল্লাহ বলেন,  ‘ যে ব্যক

রাসূলﷺ এর পিতা ও মাতা

আমাদের নবী ﷺ এর পিতা আবদুল্লাহ ইবন আবদুল মুত্তালিব ও মা আমিনা বিনত ওয়াহব-এর ব্যাপারে আলিমদের মধ্যে তিনটি মতামত রয়েছে। একদলের মতে তাঁরা নাজাতপ্রাপ্ত। একদলের মতে তাঁরা নাজাতপ্রাপ্ত নন। তৃতীয় দল এ ব্যাপারে নীরবতা অবলম্বন করেন। আমি সেই দলের অন্তর্ভুক্ত, যারা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর মা-বাবাকে নাজাতপ্রাপ্ত মনে করেন।  রাসূল ﷺ এর মা-বাবাকে নাজাতপ্রাপ্ত মনে করার পেছনে আমাদের মুল দলিল হচ্ছে আল্লাহ প্রদত্ত একটি মূলনীতি। রাসূল ﷺ এর মা-বাবা এমন এক যুগে, এমন এক জনপদের অধিবাসী ছিলেন, যেখানে কোনো রাসূল ছিলেন না। ইসমাঈল আলাইহিস সালামের পর কয়েক হাজার বছর মক্কায় কোনো রাসূল আসেননি। আল্লাহ বলেছেন- وَمَا آتَيْنَاهُم مِّن كُتُبٍ يَدْرُسُونَهَا وَمَا أَرْسَلْنَا إِلَيْهِمْ قَبْلَكَ مِن نَّذِيرٍ “আর আমি তাদেরকে কোনো কিতাব দেইনি যা তারা অধ্যয়ন করত। এবং আপনার পূর্বে তাদের কাছে কোনো সতর্ককারীও প্রেরণ করিনি।” [সুরা সাবা, ২২]  রাসূল ﷺ এর ঠিক পূর্ববর্তী রাসূল ঈসা আলাইহিস সালাম প্রেরিত হয়েছিলেন য়ারুশালেম শহরে এবং তিনি রাসূল ﷺ এর আগমনের ৫৩৭ বছর পূর্বে বিদায় নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যবর্তী এই দীর্ঘ বিচ্ছিন্নতাকে ফাতরাত বা বিরতির